আওয়ামী লীগের সব অবিচার সরাসরি ভারতের মদদে: রিজভী

আওয়ামী

গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ভারতের ক্ষমতা ও মদদে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জনগণের সমর্থনে নয়, ভারতের শক্তি ও সমর্থনে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে। আর এই বেঁচে থাকার জন্যই সরাসরি ভারতের মদদে সব দমন-পীড়ন, গুম, খুন, খুন, অন্যায় করা হচ্ছে।

বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ কয়েকদিন ধরে ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও সমর্থনের কথা স্বীকার করে উচ্চস্বরে কথা বলছেন। প্রায় সব মন্ত্রীই ভারত বন্দনায় মত্ত হয়ে যাচ্ছেন। তাদের কথাবার্তা ও আচরণে মনে হয় বাংলাদেশ এখন ভারতের উপগ্রহ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

গত ১৬ মার্চ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত আমাদের পাশে ছিল বলে বিশ্বের বড় বড় দেশ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারেনি। দেশে-বিদেশে যখন নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র হয়, ভারত দৃঢ়ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারত বিরোধী মনোভাব উস্কে দিয়ে ‘ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন’ যথাযথ নয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের বিষয়ে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে ভারত আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে চলেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ নয়। ভারতই শক্তির উৎস। প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতকে ক্ষমতায় বসিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। বাংলাদেশের জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় এটা পরিষ্কার যে ভারত বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই নীতি লঙ্ঘন করে হস্তক্ষেপ করছে। ভারত বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং গণ-অত্যাচারী শাসকদের হত্যাকারী নৈরাজ্যকর গুন্ডাদের সহযোগিতা করছে।

সরকারের প্রতি ভারতের উন্মুক্ত সমর্থন ও সহায়তার কথা উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। যা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের ভোট প্রত্যাশী নয় এবং বাংলাদেশের জনগণের ভোটের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসও নেই।

মোদী সরকারের ক্ষমতার কারণে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতকে পরাধীন করে ক্ষমতায় রয়েছে। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের কাছে একটি ডামি রাষ্ট্র বলে মনে হয়। ভোট ছাড়াই ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা গোটা দেশকে ডামি স্টেট বানিয়েছে।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ভারতের গোলামী করলেও এদেশের মানুষ ভারতের দাসত্ব করবে না। ভারতের মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তবে আমাদের আপত্তি ভারতের শাসকদের নীতি ও নীতি নিয়ে। তাই দলমত নির্বিশেষে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। আওয়ামী লীগ নয়, ১৮ কোটি মানুষের বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকায় ফিরবে ভারত সরকার।

Back To Top