এমপি হওয়ার পর রেজাউল করিমের সম্পদ বেড়েছে ৮২৪ গুণ

রেজাউল

সংসদ সদস্য হওয়ার আগে রেজাউল করিম বাবলুর বার্ষিক আয় ছিল মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। বউ বেকার ছিল। সাংসদ হওয়ার পর তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৮২৪ গুণ। জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বগুড়া-৭ আসনের সাবেক এই সাংসদ দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দায়ের করা মামলায় দুদকের বগুড়ার উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বলেন, এমপি রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী হঠাৎ করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এই ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, তাকে 7 মার্চ, 2021 তারিখে তার এবং তার স্ত্রী এবং সন্তানদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছিল। পরের বছর 6 ফেব্রুয়ারি, 2022-এ তিনি সম্পদের একটি বিবৃতি দাখিল করেন। দুদক থেকে তা যাচাই করতে গিয়ে সম্পদের মিশ্রণ পাওয়া গেছে। রেজাউল করিম বাবলু স্থাবর-অস্থাবর ১ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ অধিগ্রহণের তথ্য জমা দেন। কিন্তু যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। একইভাবে তার স্ত্রী বিউটি বেগমেরও জ্ঞাত আয়ের বাইরে ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, জ্ঞাত আয়ের বাইরে আর্থিক সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

মামলা প্রসঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেন, মামলার বিষয়টি আমি জানি না। নোটিশ পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

প্রসঙ্গত, রেজাউল করিম বাবলু বগুড়ায় নানা কারণে আলোচিত একটি নাম। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদ হারানোর পর তিনি ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেখানেও পরাজিত হয়ে থেমে থাকেননি তিনি। ২০০৯ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার লড়াইয়ে যোগ দেন। ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৭ জন। রেজাউল করিম বাবলু 2018 সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।

Back To Top