জনগণ আমাকে নৌকার বিরুদ্ধে নয়, নাবিক পরিবর্তনের জন্য ভোট দিয়েছে: নিক্সন চৌধুরী

নৌকার

নিক্সন চৌধুরী বলেন, “আমরা যারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি, তারা বলতে পারব না যে তারা 100% নৌকায় ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই তাদের ভোট দিয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আছি, সে কারণেই আমি পেয়েছি। আওয়ামী লীগের ৭০ শতাংশ ভোট।কিন্তু অন্যান্য দলের ভোটও স্বতন্ত্র।এটা অস্বীকার করলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কথা প্রশাসন শোনে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নিক্সন চৌধুরী বলেন, “স্বতন্ত্র হোক বা বিরোধী দল হোক তিনিই উপজেলার উপদেষ্টা। আমার পরামর্শ অনুযায়ী প্রশাসন কাজ করবে এটাই নিয়ম। আমার সাথে একমত বা দ্বিমতের বিষয় নয়।আর আমি এত জটিলতার মধ্যে না গিয়ে জনগণের জন্য কাজ করি।ফরিদপুর-৫ বিলুপ্ত করে ২০০৮ সালে ফরিদপুর-৪ এর সাথে একীভূত করা হয়।

এ এলাকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ভোট রয়েছে। আমার আগে যিনি সংসদ সদস্য ছিলেন, এখন আমার প্রতিপক্ষ তাঁর চাচা, তাঁর স্ত্রী, তিনি এমপি। এর আগে ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকায় আমার এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারপরও মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছে। ১৯৯৬ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান।

তার চাচা এমপি ছিলেন। এবার এলাকার উন্নয়ন হবে বলে মনে করেছিলেন ভোটাররা। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছরেও তারা এলাকায় কোনো উন্নয়ন করেনি। রাস্তা নেই, পুল কালভার্ট নেই, বিদ্যুৎ নেই। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। 2014 সালে আমি যখন এমপি হয়েছিলাম তখন এলাকার মাত্র 30 জন মানুষ বিদ্যুৎ ছিল। একটি ইউনিয়নে কোনো সেতু নেই। পাকা রাস্তা ইটের রাস্তা থেকে অনেক দূরে। কিন্তু এলাকার মানুষ নৌকার বিপক্ষে ভোট দেয়নি। নৌকার মাঝি পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। 2014 থেকে 2018 পর্যন্ত আমি যে উন্নয়ন কাজ করেছি তা আমার প্রতি তাদের আস্থা ও আস্থা অর্জন করেছে। তবে এলাকার মানুষ আমাকে আস্থা ও বিশ্বাস থেকে নির্বাচিত করেছেন।

নৌকার মাঝি মারলেও নৌকায় উঠবেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নিক্সন বলেন, নাবিক ওই বয়সেরও নয়, ওই অবস্থায়ও নেই। শুধু নৌকা দিয়ে নির্বাচন করা যায় না। করোনার সময় আমি দুই বছর আমার এলাকায় ছিলাম। আমার প্রতিপক্ষ একবারও এলাকায় যাননি। মানুষ আমাকে মার্ক পাওয়ার জন্য ভোট দেয়নি, ভোট দিয়েছে তাদের সেবা করার জন্য।”

এমপি হওয়ার স্বপ্ন কীভাবে মাথায় এলো এমন প্রশ্নের জবাবে নিক্সন বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমি রাজনীতিতে বড় হয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ আমাকে তাদের দুর্দশার কথা বলতেন। তারা বলতেন, স্থানীয় মানুষের দুর্দশা সমাধানের জন্য আমাদের আপনার মতো লোক দরকার। সেভাবেই নির্বাচনে আসুন।

ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতি প্রসঙ্গে নিক্সন বলেন, ‘যুবলীগের রাজনীতি এক সময় খারাপ অবস্থায় ছিল। শেখ ফজলে শামস তাপস যুবলীগের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি যুবলীগকে একটি মানবিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। এটি তার বাবার তৈরি একটি সংগঠন। এ কারণে এই সংগঠনের প্রতি তার অনেক ভালোবাসা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে নিক্সন বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করার তৃপ্তি আর কোথাও নেই। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় কিছু নেই।

প্রবাসীদের বিষয়ে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমি সব সময় তাদের সুযোগ-সুবিধা ও দুর্ভোগের বিষয়ে সোচ্চার। সংসদে প্রতিটি বক্তৃতায় তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছি। জনসাধারণের মধ্যে কথা বলতে. এগুলো পূরণ করা এমপির কাজ নয়। প্রধানমন্ত্রী আছেন, মন্ত্রী আছেন। আছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা জিনিস দেখতে আশা করি.

Back To Top