জনগণ বিএনপিকে ঘৃণা করে : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি

বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই, বিএনপির প্রতি এক ধরনের বিদ্বেষ আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর, কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আজ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এর কারণেই জনগণ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি নেতারা তাদের দুঃশাসনের দুর্দিনে জনগণকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান।

অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তা দেখে বিএনপি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিএনপি ও তার জোটের সকল ষড়যন্ত্র বিভিন্ন সময়ে ব্যর্থ হওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাষ্ট্রযন্ত্রকে নড়েচড়ে বসানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

কিন্তু বিএনপি খোদ রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হোঁচট খাচ্ছে বিএনপি। এই ধাক্কাটা বারবার হারের ধাক্কা। বিএনপির নেতারা হতাশার অতলে নিমজ্জিত হয়ে বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

তারা দিন দিন দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে শত্রুতে পরিণত করছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার তাদের অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে! কিন্তু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিএনপি দেশের অগ্রগতি ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কী ভূমিকা পালন করেছে? বরং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে হত্যা, গুম ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রবর্তন করেন। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তগত করে বিরোধী দল ও মতকে দমন করার ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বিএনপির আমলে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি, বরং তারা ক্ষমতা লাভের জন্য নিজেদের ইচ্ছামতো রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ না দিয়ে বিএনপির কার্যালয় ও হাওয়া ভবনের সঙ্গে একীভূত করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয়। এসবই বিএনপির অর্জন, যা জনগণ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি কখনোই ইতিবাচক কিছু অর্জন করতে পারবে না।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণ চেয়েছিল বলেই টানা চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনায় নেমেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের স্বার্থ ও জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশে সরকার জনগণের সেবক- এমন ধারণা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন। তাই দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী অপশক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে বিবেচিত হবে।

Back To Top