প্রতারণার মামলায় স্বামীসহ যুব মহিলা লীগ নেত্রী রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে

প্রতারণার মামলায় স্বামীসহ যুব মহিলা লীগ নেত্রী রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে

প্রতারণার মামলায় Information: জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য মীম খাতুন ওরফে আফসানা মিম ও তার স্বামী ওবায়দুল্লাহকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার সকালে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা শহরের মাসুম বাজার এলাকার নিজ বাসা থেকে পাবনা সদর থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। মিম তার স্বামীকে অন্যের কাছে তার শ্যালক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতো।
গ্রেফতারকৃত মীম খাতুন পাবনা পৌর সদরের পুরাতন মাসুম বাজার এলাকার মিন্টু মোল্লার মেয়ে ও তার স্বামী ওবায়দুল্লাহ একই এলাকার মৃত মাওলানা কেসমত উল্লাহর ছেলে। মীম পাবনা পৌর যুবলীগের সহসভাপতি মো.

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। মামলার বাদী মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু (৩২) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। বর্তমানে থাকেন রাজধানীর শাহজানপুরে। গুলশান-২-এ এবিএস নামে তার একটি ব্যবসা রয়েছে।

মামলার জবানবন্দিতে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু জানান, মিমের সঙ্গে তার ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। কিছুদিন পর মিম ওবায়দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে তার শ্যালক বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে মীম ও ওবায়দুল্লাহ পাবনা শহরের রবিউল বাজারে ব্যবসার কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৯০ টাকা ধার নেন এবং ওই ব্যবসায় অংশীদার রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা আমার কাছ থেকে ওই টাকা ধার নিয়েছিল।

জবানবন্দিতে মনিরুজ্জামান আরও উল্লেখ করেন, আস্থার কারণে দলিল ছাড়াই লেনদেন করা হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা তর্ক শুরু করেন। অবশেষে ১৬ ফেব্রুয়ারি বকেয়া টাকা ফেরত না দেওয়ার কথা বলে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবুকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।

মনিরুজ্জামান আরও বলেন, বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি, তিনি নিজেকে দুলাভাই পরিচয় দিলেও আসলে তিনি মিমের চতুর্থ স্বামী ওবায়দুল্লাহ। তারা দুজনেই আমাকে ধোঁকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এর আগেও অনেকের সঙ্গে এমন করেছে সে। কোনো উপায় না পেয়ে আমি পুলিশের সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করি।

প্রতারণার মামলায়

প্রতারণার মামলায়

Back To Top