মা-মেয়ের পোল্যান্ডে যাওয়ার স্বপ্ন কফিনে তালাবদ্ধ

মা-মেয়ের পোল্যান্ডে যাওয়ার স্বপ্ন কফিনে তালাবদ্ধ

পোল্যান্ডে Information: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামের পোল্যান্ড প্রবাসী প্রকৌশলী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪০) ও মেয়ে পিয়াঙ্কা রায় (১৭) এর স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ নিতে প্রবাসী উত্তম রায় এখন বাংলাদেশে যাচ্ছেন।

উত্তম রায়ের ভাতিজি অয়ন রায় মা ও মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে মা-মেয়ে তাদের মালিবাগের বাসা থেকে বেইলি রোডে কাচ্চি ভাইয়ের বাড়িতে খেতে যান। মা ও মেয়ের খাওয়া শেষে নিজ ঠিকানায় ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। আগুনে তাদের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উত্তম রায় দেশে ফিরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মা ও মেয়ের লাশ বানেশ্বরপুর গ্রামে নিয়ে আসবেন। শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা ও মেয়ের লাশ শনাক্ত করে পরিবার। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

উত্তম কুমার রায়ের ভাই বিষ্ণু রায় জানান, পোল্যান্ডে একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সময় ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর উত্তম ও রুবির বিয়ে হয় ১৯৯৬ সালে। উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড চলে যাওয়ার পর রুবি রায় তার মেয়ে পিয়াঙ্কা রায়কে নিয়ে ঢাকার মালিবাগে বসবাস করতেন। ঢাকা এ লেভেলে পড়তেন পিয়াঙ্কা রায়।
বৃহস্পতিবার রাতে কচি ভাই বেইলি রোডে ডিনার করতে যান। খাওয়া সেরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কাছি ভাইয়ের অগ্নিকাণ্ডে মা ও মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে তারা ঢাকায় গিয়ে মা ও মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। মৃত রুবি রায় ও মেয়ে পিয়াঙ্কা রায়ের পোল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল উত্তম রায়ের সঙ্গে। কিন্তু পুড়ে গেছে তাদের স্বপ্ন।

Back To Top