মির্জা ফখরুল মহাসচিবের পদ থেকে সরে যেতে পারেন: মেজর হাফিজ

মির্জা ফখরুল মহাসচিবের পদ থেকে সরে যেতে পারেন: মেজর হাফিজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাধারণ সম্পাদক পদে রদবদল চলছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, এটা দলীয় পুনর্গঠনে নেতৃত্বের পরিবর্তনের অংশ। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। পরিবর্তন আসতে পারে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতেও। দলের সিনিয়র নেতারা বলছেন, দলের প্রয়োজন অনুযায়ী নেতৃত্ব পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি রাজপথে থাকলেও গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পিছু হটেছে। সাধারণ সম্পাদকসহ দলের সিনিয়র নেতাদের একের পর এক গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নির্বাচনের পর মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির প্রায় সব নেতা কারাগার থেকে মুক্তি পান। তবে মুক্তির পর মির্জা ফখরুলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। বিএনপি বলছে মির্জা ফখরুল অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম) ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, “তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) অসুস্থ। হয়তো তিনি নিজেই (মহাসচিব পদ থেকে) সরে যেতে চান। বিএনপি একটি ভিন্ন ধরনের। পার্টির। এখানে সব সিদ্ধান্ত দলের চেয়ারপারসনই নেন। বিভিন্ন পরিবেশ দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’

বিএনপিতে মহাসচিব পরিবর্তন হতে পারে, দলের ভেতরে-বাইরে গুঞ্জন ছাড়াও স্থায়ী কমিটিতে নতুন মুখ নিয়ে আলোচনা চলছে। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নিতাই রায় চৌধুরী, মো: শাহজাহান, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজনের নাম আসছে বিভিন্ন মহল থেকে।

হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, “দলকে পুনর্গঠন করতে হবে। কেন যোগ্য লোক নিয়োগ করা হচ্ছে না, এটা আমার কাছে ধাঁধার মতো মনে হচ্ছে। দুই-তিনজনের চেয়ে ১২-১৩ জন সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হয়।”

দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, “কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্য পদগুলো অবশ্যই দুদিন আগে বা পরে পূরণ করতে হবে। আমরা আমাদের সংগঠনকে যত দ্রুত করতে পারব, ততই ভালো।”

এদিকে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বেও পরিবর্তন আসতে পারে। সম্প্রতি ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন নেতৃত্ব দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কমিটি দেওয়ার পর তিন বছর ধরে রাখার দরকার নেই। কমিটি আশানুরূপ কাজ না করলে আমি আগে বা পরে কমিটি ভেঙে দিতে পারি। তাই দল পুনর্গঠনের কাজ চলছে।১৭ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করবে বিএনপি।

Back To Top