মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন

মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন

আওয়ামী: মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার আধার ইউনিয়নের বকুলতলা হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আধার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়ার লোকজনের সঙ্গে এলাকা নিয়ে দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেন সরকারের লোকজনের আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল।

এরই জের ধরে দুপুর ১২টার দিকে বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় হানিফ দেওয়ান ও সুরুজ মিয়ার অনুসারী শামীমের নেতৃত্বে আলী হোসেনের লোকজন হামলা ও গুলি চালায়। এতে শাকিল (২২), জুয়েল (২৫) ও আয়নাল (৩৫) নামে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

পরে এ ঘটনার জের ধরে ওই গ্রামে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হোসেনের লোকজন প্রতিপক্ষের ৫টি দোকান ভাংচুর করে। এ সময় ককটেলটির বিস্ফোরণ ঘটে।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাক গণমাধ্যমকে বলেন, আহত তিনজনকে হাসপাতালে আনা হলে শাকিল ও জুয়েলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে আলী হোসেন সরকার বলেন, বকুলতলা এলাকায় সুরুজ মিয়ার লোকজন অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনকে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তাদের গুলিতে আমাদের ৩ জন গুলিবিদ্ধ এবং আরও কয়েকজন আহত হয়।

আধার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া জানান, আলী হোসেনের লোকজন আমার সমর্থকদের প্রায় ৭টি দোকান ভাংচুর ও ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমরা চার-পাঁচজন আহত হয়েছি। আর আমি বুলেটের কথা জানি না।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থানাদার খায়রুল হাসান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Back To Top